ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

খবর নেয়নি কেউ! অগ্নিকান্ডে ঘর পুড়ে যাওয়া আ.লীগ নেতার

মুহাম্মদ মনজুর আলম, চকরিয়া ::  কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিনের বসতঘর অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়ার ১০দিন অতিবাহিত হলেও সরকারি – বেসরকারি বা দলীয় কোন নেতা কোন ধরনের সহযোগীতাতো দুরের কথা সহানুভুতি জানাতেও এগিয়ে আসেননি । এতে প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নীচে দূর্বিসহ দিনযাপন করছেন তার অসহায় পরিবার। অতচ আজকের অসহায় অবস্থায় পতিত হওয়া আঃ লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন কিছুদিন আগেও তার এলাকার শতশত অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাড়াতে দেখা গেছে ।

জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর ভোররাত দেড়টার দিকে কাকারা ইউনিয়নের প্রপার কাকারা এলাকার ৬নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা নাজিম উদ্দিনের বসতবাড়ি ভস্মিভুত হয়। এসময় ঘরে তিনি ছাড়া আর কেউ না থাকায় কোন ধরনের মালামাল উদ্ধার করতে পারেননি। আগুনে পুড়ে যায় ঘরে গচ্ছিত নগদ টাকা, স্বর্ণাল্কংার ও প্রয়োজনীয় দলিলপত্র। কিন্তু আগুনে পুড়ে যাওয়ার ১০দিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে কোন ধরনরে সহযোগীতা মেলেনি তার পরিবারে। এদিকে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া আওয়ামীলীগ নেতার চোখে শুধু অন্ধকার। জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে গড়া বাড়ি, স¦র্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব হারিয়ে তিনি এখন নির্বাক। কিন্তু আওয়ামীলীগের একজন দায়িত্বশীল কর্মী হয়েও দুঃসময়ে কেউ এগিয়ে না আসায় ক্ষোভ ও প্রকাশ করছেন কাকারা এলাকার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিরা । তারা বলেন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও একজন সক্রিয় ও নীতিবান নেতার এ দূরাবস্থা মেনে নিতে পারছেনা তৃণমূলের কর্মীরা।

ক্ষতিগ্রস্থ আওয়ামীলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, ঘর পুড়ে যাওয়ার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে অসহায় থাবে অবস্থান করছি। নিজের কোন আর্থিক সামর্থ না থাকায় মাথা গোঁজার ঠাই নেই এখন। আমার সহায় সম্বল যা ছিল তা আগুনে পুড়ে গেছে। এতে আমার অন্তত ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা পেলে আমার পরিবার পাবে মাথা গোঁজার ঠাই। ##

পাঠকের মতামত: